০৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

ঈদের আনন্দে অশ্রুর ছায়া: নলছিটির রিজিয়া বেগমের চিকিৎসাহীন মৃত্যুযন্ত্রণা”

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময়: ০৭:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫
  • 67

খান বশির

ঈদের উৎসব এসেছে ঘরে ঘরে, কিন্তু নলছিটি পৌরসভার ভাঙ্গাদেউলা গ্রামের রিজিয়া বেগমের ঘরে আসেনি কোনো খুশির ছোঁয়া । ৭০ বছরের এই বৃদ্ধা মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন শয্যাশায়ী হয়ে। চিকিৎসকরা ঢাকার বক্ষব্যাধী হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত রিজিয়ার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য নেই।সারা জীবন দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে আধাপেট খেয়ে বেঁচে থাকা রিজিয়া বেগম এখন শ্বাসকষ্ট, যক্ষ্মা, ফুসফুস ও যকৃতের জটিলতায় ভুগছেন। স্বামী সফেজ উদ্দিনের মৃত্যুর পর থেকেই তিনি নিঃস্ব। পাঁচ মেয়ের মা রিজিয়ার গর্ভে পুত্রসন্তান না আসার আক্ষেপ আজও তাকে কুরে কুরে খায়। এক মেয়ে মায়ের সেবায় থাকলেও তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ের পর আর খোঁজ রাখেন না।মায়ের বাঁচার আকুতি, মেয়েদের নিরাশ্রয় কান্না:রিজিয়ার মেয়েরা দিনরাত মায়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। “মাকে বাঁচান” এই আকুতি নিয়ে তারা কেঁদে বেড়ালেও কূলকিনারা মিলছে না। চিকিৎসা বন্ধ, ঔষধ কেনার টাকা নেই, এমনকি দু’বেলা খাবারের জোগানও অনিশ্চিত। মেয়েদের কণ্ঠে শুধুই হাহাকার: “একটু সহযোগিতা পেলে মা বাঁচতে পারেন।”সমাজের কাছে আকুল আবেদন:রিজিয়া বেগমের মেয়েরা সমাজের বিত্তবান, মানবতাবাদী ও সংস্থাগুলোর কাছে মায়ের চিকিৎসার জন্য জরুরি সহায়তা চেয়েছেন। যোগাযোগের জন্য তারা এই নম্বরটি: ০১৭০৭-৯৮২২৫৩।

ঈদের এই উৎসবের সময়ে যখন সবাই আনন্দে মগ্ন, তখন রিজিয়া বেগমের মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মানবতার দাবি। একটু হাত বাড়ালেই হয়তো ফিরে আসবে তার বেঁচে থাকার আশা। আসুন, আমরা এগিয়ে আসি—অনাহার, বেদনা ও চিকিৎসাহীনতায় যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে!


আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

বাকেরগঞ্জে ট্রাক, সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ হাইওয়েতে অবৈধ পার্কিংকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা

ঈদের আনন্দে অশ্রুর ছায়া: নলছিটির রিজিয়া বেগমের চিকিৎসাহীন মৃত্যুযন্ত্রণা”

আপডেট সময়: ০৭:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

খান বশির

ঈদের উৎসব এসেছে ঘরে ঘরে, কিন্তু নলছিটি পৌরসভার ভাঙ্গাদেউলা গ্রামের রিজিয়া বেগমের ঘরে আসেনি কোনো খুশির ছোঁয়া । ৭০ বছরের এই বৃদ্ধা মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন শয্যাশায়ী হয়ে। চিকিৎসকরা ঢাকার বক্ষব্যাধী হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত রিজিয়ার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য নেই।সারা জীবন দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে আধাপেট খেয়ে বেঁচে থাকা রিজিয়া বেগম এখন শ্বাসকষ্ট, যক্ষ্মা, ফুসফুস ও যকৃতের জটিলতায় ভুগছেন। স্বামী সফেজ উদ্দিনের মৃত্যুর পর থেকেই তিনি নিঃস্ব। পাঁচ মেয়ের মা রিজিয়ার গর্ভে পুত্রসন্তান না আসার আক্ষেপ আজও তাকে কুরে কুরে খায়। এক মেয়ে মায়ের সেবায় থাকলেও তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ের পর আর খোঁজ রাখেন না।মায়ের বাঁচার আকুতি, মেয়েদের নিরাশ্রয় কান্না:রিজিয়ার মেয়েরা দিনরাত মায়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। “মাকে বাঁচান” এই আকুতি নিয়ে তারা কেঁদে বেড়ালেও কূলকিনারা মিলছে না। চিকিৎসা বন্ধ, ঔষধ কেনার টাকা নেই, এমনকি দু’বেলা খাবারের জোগানও অনিশ্চিত। মেয়েদের কণ্ঠে শুধুই হাহাকার: “একটু সহযোগিতা পেলে মা বাঁচতে পারেন।”সমাজের কাছে আকুল আবেদন:রিজিয়া বেগমের মেয়েরা সমাজের বিত্তবান, মানবতাবাদী ও সংস্থাগুলোর কাছে মায়ের চিকিৎসার জন্য জরুরি সহায়তা চেয়েছেন। যোগাযোগের জন্য তারা এই নম্বরটি: ০১৭০৭-৯৮২২৫৩।

ঈদের এই উৎসবের সময়ে যখন সবাই আনন্দে মগ্ন, তখন রিজিয়া বেগমের মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মানবতার দাবি। একটু হাত বাড়ালেই হয়তো ফিরে আসবে তার বেঁচে থাকার আশা। আসুন, আমরা এগিয়ে আসি—অনাহার, বেদনা ও চিকিৎসাহীনতায় যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে!