প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১, ২০২৫, ১০:৪৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ১২, ২০২৫, ১:৪৮ পি.এম
নলছিটির ঐতিহ্যবাহী ‘চায়নার মাঠ’ বদলে যাচ্ছে রাতের আলোয়: সৌন্দর্যে মুগ্ধ পৌরবাসী
খান বশির
নলছিটির হৃদয় বলা চলে ঐতিহ্যবাহী চায়নার মাঠ। দিনের আলোয় যেমন এখানে মানুষের পদচারণা লেগে থাকে, তেমনি রাতের আঁধারে এতদিন মাঠটি ছিলো অন্ধকার ও অবহেলিত। কিন্তু সেই দৃশ্যের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে সম্প্রতি। চারপাশ ঘিরে লাগানো হয়েছে লাল নিন আলো, যা রাতের বেলায় এক অপূর্ব সৌন্দর্যে রূপ দিয়েছে মাঠটিকে। যেন এক নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে নলছিটি পৌর এলাকার প্রাণকেন্দ্রটি।
পৌরবাসীরা বলছেন, গত ২০ বছরে তারা এমন মনোমুগ্ধকর রাত্রিকালীন দৃশ্য দেখেননি। দীর্ঘদিন চায়নার মাঠ ছিল অযত্নে অবহেলায়, সন্ধ্যার পর নির্জন ও অন্ধকার থাকায় সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম যোগদানের পর থেকেই দৃশ্যপট পাল্টাতে শুরু করে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে নলছিটি পৌর এলাকা।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পৌরবাসী বলেন, “আমরা এমন একজন পৌর মেয়র চাই, যিনি আমাদের দুঃখ-কষ্টে পাশে থাকবেন। চাঁদাবাজ, শান্তির নামে দখলদারী আর কাজ না করে শুধু টাকা তোলার রাজনীতি আমরা চাই না। নজরুল ইসলাম স্যারের হাত ধরে যে উন্নয়নের ধারা শুরু হয়েছে, আমরা চাই সেটি অব্যাহত থাকুক।”
চায়নার মাঠে লাল আলো স্থাপন শুধু আলোকসজ্জাই নয়, এটি এখন মানুষের মিলনস্থলে পরিণত হয়েছে। শিশুরা খেলছে, প্রবীণরা হাঁটছেন, তরুণ-তরুণীরা আড্ডা দিচ্ছেন। এতে সামাজিক সম্প্রীতি যেমন বাড়ছে, তেমনি শহরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, “চায়নার মাঠকে আধুনিক ও সুরক্ষিত করার লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মানুষ যেন পরিবার নিয়ে নিরাপদে ঘুরতে পারে, এমন পরিবেশ গড়ে তোলা আমাদের অঙ্গীকার।”
পৌরসভার উন্নয়নে প্রশাসনের পাশাপাশি নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। জনসচেতনতা, পরিচ্ছন্নতা এবং নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে শহরের সৌন্দর্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে জানান ইউএনও।
পৌর এলাকার অন্যান্য স্থানেও এই ধরনের আলোকসজ্জা, সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং জনসেবামূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এই ছোট উদ্যোগ বড় স্বপ্নের বার্তা দিচ্ছে নলছিটিতে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন পরিবর্তন সাধারণ মানুষের মাঝে আশার আলো জাগাচ্ছে। তারা চাইছেন এমন নেতৃত্ব যাঁরা কাজ করবেন, পাশে থাকবেন, শোনার চেষ্টা করবেন মানুষের কথা।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত