০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

কালবৈশাখীর ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড বরিশাল বিভাগ, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময়: ০৯:৪১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • 71

খান বশির
কালবৈশাখ  ঝড়ের  প্রচণ্ড তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ এলাকা। হঠাৎ করে আঘাত হানা এই দুর্যোগে শিলা বৃষ্টির সাথে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে বইতে থাকা দমকা হাওয়া একের পর এক কাঁচা ঘরবাড়ি, টিনের চালা ও গাছপালা ভেঙে ফেলে। বিপর্যস্ত করে তোলে সাধারণ মানুষের জীবন।
মাত্র কিছুক্ষণের ব্যবধানে শুরু হওয়া এই ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পটুয়াখালী, বরিশাল, ঝালকাঠি ও ভোলা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। বিশেষ করে গ্রামের জনপদগুলোতে শিলাবৃষ্টির আঘাতে চাষাবাদ ও ফলমূলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ায় অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বহু জায়গায়।
ঝড়ের সময় অধিকাংশ মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরের চালা উড়ে যেতে দেখেছেন। অনেকের মাটির ঘর মুহূর্তেই ভেঙে পড়েছে। দপদপিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা কালামের মা বলেন, “হঠাৎ দেখি আকাশ কালো হয়ে এল, তারপর এমন ঝড় উঠল, আমরা শুধু বাচার জন্য দৌঁড়েছি। ঘর ভেঙে গেছে, চালা উড়ে গেছে, সব কিছু শেষ।” বরিশাল আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জানান, এই মৌসুমে এমন কালবৈশাখী ঝড় নতুন কিছু নয়, তবে এবারের ঝড়টি ছিল অপেক্ষাকৃত তীব্র। বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। শিলাবৃষ্টির কারণে কৃষি খাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

বাকেরগঞ্জে ট্রাক, সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ হাইওয়েতে অবৈধ পার্কিংকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা

কালবৈশাখীর ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড বরিশাল বিভাগ, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

আপডেট সময়: ০৯:৪১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

খান বশির
কালবৈশাখ  ঝড়ের  প্রচণ্ড তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ এলাকা। হঠাৎ করে আঘাত হানা এই দুর্যোগে শিলা বৃষ্টির সাথে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে বইতে থাকা দমকা হাওয়া একের পর এক কাঁচা ঘরবাড়ি, টিনের চালা ও গাছপালা ভেঙে ফেলে। বিপর্যস্ত করে তোলে সাধারণ মানুষের জীবন।
মাত্র কিছুক্ষণের ব্যবধানে শুরু হওয়া এই ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পটুয়াখালী, বরিশাল, ঝালকাঠি ও ভোলা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। বিশেষ করে গ্রামের জনপদগুলোতে শিলাবৃষ্টির আঘাতে চাষাবাদ ও ফলমূলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ায় অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বহু জায়গায়।
ঝড়ের সময় অধিকাংশ মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরের চালা উড়ে যেতে দেখেছেন। অনেকের মাটির ঘর মুহূর্তেই ভেঙে পড়েছে। দপদপিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা কালামের মা বলেন, “হঠাৎ দেখি আকাশ কালো হয়ে এল, তারপর এমন ঝড় উঠল, আমরা শুধু বাচার জন্য দৌঁড়েছি। ঘর ভেঙে গেছে, চালা উড়ে গেছে, সব কিছু শেষ।” বরিশাল আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জানান, এই মৌসুমে এমন কালবৈশাখী ঝড় নতুন কিছু নয়, তবে এবারের ঝড়টি ছিল অপেক্ষাকৃত তীব্র। বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। শিলাবৃষ্টির কারণে কৃষি খাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।