চীনের উপহারের হাসপাতাল ও, ৬ লেন সড়কের দাবিতে নলছিটিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
-
প্রতিনিধি
-
আপডেট সময়:
১০:২৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
- 68
খান বশির
চীনের উপহারে বরিশাল অঞ্চলে নির্মাণাধীন তিনটি ১০০০ শয্যার “চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল”-এর একটি নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায় স্থাপন এবং মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬ লেন সড়কের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে স্থানীয় জনসাধারণ। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক নলছিটি বাস স্ট্যান্ডের চায়না কবরস্থানের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার শতাধিক মানুষ ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন। আয়োজনে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক খান বসির, ইজিবাইক শ্রমিক নেতা আল-আমীন হাওলাদার, বিডি ক্লিন সমন্বয়কারী মারজান, সমাজকর্মী বালী তাইফুর রহমান তূর্য প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য চীনের উপহারে একটি উন্নত হাসপাতাল স্থাপন বরিশালবাসীর ন্যায্য দাবি। তারা দাবি জানান, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন দপদপিয়া বা কুমারখালি মরা নদীর পাশে থাকা ১২০ একর খাস জমির মধ্যে হাসপাতালটি স্থাপন করলে বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা ও পিরোজপুর জেলার মানুষ উপকৃত হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চীনের সঙ্গে নলছিটির সম্পর্ক হাজার বছরের পুরনো। সপ্তম শতকে তাং রাজবংশের সময় চীনা ব্যবসায়ীরা এখানে আসতেন, এবং আজও ‘চায়না বাজার’, ‘চায়না ফিল্ড’, ও ‘চায়না কবর’ নামগুলো সেই ঐতিহাসিক সম্পর্কের স্মারক হিসেবে টিকে রয়েছে। তারা বলেন, নলছিটির মাটি ও মানুষের মধ্যে চীনের প্রতি একধরনের ঐতিহাসিক শ্রদ্ধা রয়েছে, যা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের বাস্তব প্রতিচ্ছবি।
বক্তারা আরো বলেন, ভারত বন্ধু পরিচয়ে সবসময় বাংলাদেশের স্বার্থে আঘাত করেছে, অথচ চীন সবসময় বন্ধুর মতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। তাই তারা দাবি জানান, চীনের সহায়তায় নির্মাণাধীন হাসপাতালের একটি যেন নলছিটিতে হয়। এমনকি প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত একটি হাসপাতাল স্থাপনেও প্রস্তুত স্থানীয়রা।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে হাসপাতাল স্থাপনের জন্য উপযুক্ত স্থান, জমির ব্যবস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি উল্লেখ করা হয়েছে।
বক্তারা এই হাসপাতালকে চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এটি শুধু চিকিৎসাসেবা নয়, বরং দুই দেশের বন্ধুত্বকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।