০১:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

বজ্রপাতে মা হারানো ১৫ দিনের শিশুর পাশে নলছিটির ইউএনও

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময়: ১১:০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • 63

খান বশির
ঝালকাঠির নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নের উত্তর জুরকাঠী গ্রামে বজ্রপাতে নিহত গৃহবধূ আসমা বেগমের সন্তানের পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নজরুল ইসলাম।

শনিবার (৩ মে) বেলা ১১টায় নিহত আসমা বেগমের শ্বশুর বাড়ি সোহরাব মাঝীর বাড়িতে যান ইউএনও। তিনি নিহতের পরিবারের খোঁজখবর নেন, পরিদর্শন করেন ঘটনাস্থল এবং শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন।

২৫ বছর বয়সী আসমা বেগম গত ২৮ এপ্রিল বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে মারা যান। মৃত্যুর সময় তিনি রেখে যান দুটি শিশু সন্তান—ছয় বছর বয়সী নাদিয়া এবং মাত্র ২০ দিন বয়সী নবজাতক আফিয়া।

ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম নবজাতক আফিয়ার জন্য তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং বড় বোন নাদিয়ার পড়াশোনার দায়িত্ব গ্রহণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

পরিবারের করুণ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করে নিজেও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ইউএনও। এ সময় নিহত আসমার মা কোলে নবজাতক নাতনীকে নিয়ে কেঁদে ফেলেন। ২৫ বছরের তরতাজা মেয়েকে হারিয়ে ও এতটুকু শিশুকে নিয়ে তার অসহায় অবস্থার কথা জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে শোকে বিহ্বল আসমার পরিবারকে সান্ত্বনা দেন ইউএনও। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বলেন, “এই শিশুরা একা নয়, প্রশাসন সবসময় তাদের পাশে থাকবে।”

মানবিক এই উদ্যোগে এলাকার মানুষ প্রশংসা করেছেন। হতদরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

বাকেরগঞ্জে ট্রাক, সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ হাইওয়েতে অবৈধ পার্কিংকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা

বজ্রপাতে মা হারানো ১৫ দিনের শিশুর পাশে নলছিটির ইউএনও

আপডেট সময়: ১১:০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

খান বশির
ঝালকাঠির নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নের উত্তর জুরকাঠী গ্রামে বজ্রপাতে নিহত গৃহবধূ আসমা বেগমের সন্তানের পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নজরুল ইসলাম।

শনিবার (৩ মে) বেলা ১১টায় নিহত আসমা বেগমের শ্বশুর বাড়ি সোহরাব মাঝীর বাড়িতে যান ইউএনও। তিনি নিহতের পরিবারের খোঁজখবর নেন, পরিদর্শন করেন ঘটনাস্থল এবং শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন।

২৫ বছর বয়সী আসমা বেগম গত ২৮ এপ্রিল বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে মারা যান। মৃত্যুর সময় তিনি রেখে যান দুটি শিশু সন্তান—ছয় বছর বয়সী নাদিয়া এবং মাত্র ২০ দিন বয়সী নবজাতক আফিয়া।

ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম নবজাতক আফিয়ার জন্য তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং বড় বোন নাদিয়ার পড়াশোনার দায়িত্ব গ্রহণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

পরিবারের করুণ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করে নিজেও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ইউএনও। এ সময় নিহত আসমার মা কোলে নবজাতক নাতনীকে নিয়ে কেঁদে ফেলেন। ২৫ বছরের তরতাজা মেয়েকে হারিয়ে ও এতটুকু শিশুকে নিয়ে তার অসহায় অবস্থার কথা জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে শোকে বিহ্বল আসমার পরিবারকে সান্ত্বনা দেন ইউএনও। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বলেন, “এই শিশুরা একা নয়, প্রশাসন সবসময় তাদের পাশে থাকবে।”

মানবিক এই উদ্যোগে এলাকার মানুষ প্রশংসা করেছেন। হতদরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম।