০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

অসহায় মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পলাতক প্রতারক রাহাত আলম

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময়: ১০:১৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • 47

 

 নিজস্ব প্রতিনিধ
সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রকার প্রতারণার মাধ্যমে অসহায় ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পলাতক রয়েছে মোঃ রাহাত আলম। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাইমচরে। পিতার নাম মনু মিয়া মেজি।

প্রতারক রাহাত আলম সিদ্ধিরগঞ্জ চিটাগাং রোড এলাকায় কাশ সাপ শপিং সেন্টারের নিচতলায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতেন। তার শ্বশুরবাড়ি বন্দর থানায়, শ্বশুরের নাম মাজেদ হাজী এবং সম্বন্ধীর নাম রাসেল। এলাকার মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে এবং আস্থার সুযোগ নিয়ে তিনি নানা অজুহাতে বড় অঙ্কের টাকা সংগ্রহ করতেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চিটাগাং রোড ও আশপাশের এলাকার অনেক বাসিন্দার কাছ থেকে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পরে হঠাৎ করেই কোনো প্রকার যোগাযোগ ছাড়াই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন খোঁজাখুঁজি করার পর স্থানীয়রা জানতে পারেন যে তিনি ভুয়া কৌশল অবলম্বন করে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন।

আঁটি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ দেলোয়ার হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী জানান, তার কাছ থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয় রাহাত আলম। একইভাবে আরও অনেকের কাছ থেকেও বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় সে। প্রতারণার শিকার একাধিক ব্যক্তি জানান, রাহাত আলম বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রথমে অল্প কিছু টাকা ফেরত দিতেন, কিন্তু পরবর্তীতে বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে আর ফেরত দিতেন না।

স্থানীয়রা জানান, রাহাত আলম শুধু সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় নয়, তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরেও মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। সম্প্রতি গ্রামে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হলে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে যায়নি।

ভুক্তভোগীরা প্রতারক রাহাত আলমকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। তারা পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন, যেন এই ধরনের প্রতারকরা আর নিরীহ মানুষের ক্ষতি করতে না পারে।

প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা আরও জানান, রাহাত আলমের কারণে অনেক পরিবার আর্থিক সংকটে পড়েছে এবং ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

বাকেরগঞ্জে ট্রাক, সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ হাইওয়েতে অবৈধ পার্কিংকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা

অসহায় মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পলাতক প্রতারক রাহাত আলম

আপডেট সময়: ১০:১৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

 

 নিজস্ব প্রতিনিধ
সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রকার প্রতারণার মাধ্যমে অসহায় ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পলাতক রয়েছে মোঃ রাহাত আলম। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাইমচরে। পিতার নাম মনু মিয়া মেজি।

প্রতারক রাহাত আলম সিদ্ধিরগঞ্জ চিটাগাং রোড এলাকায় কাশ সাপ শপিং সেন্টারের নিচতলায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতেন। তার শ্বশুরবাড়ি বন্দর থানায়, শ্বশুরের নাম মাজেদ হাজী এবং সম্বন্ধীর নাম রাসেল। এলাকার মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে এবং আস্থার সুযোগ নিয়ে তিনি নানা অজুহাতে বড় অঙ্কের টাকা সংগ্রহ করতেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চিটাগাং রোড ও আশপাশের এলাকার অনেক বাসিন্দার কাছ থেকে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পরে হঠাৎ করেই কোনো প্রকার যোগাযোগ ছাড়াই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন খোঁজাখুঁজি করার পর স্থানীয়রা জানতে পারেন যে তিনি ভুয়া কৌশল অবলম্বন করে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন।

আঁটি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ দেলোয়ার হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী জানান, তার কাছ থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয় রাহাত আলম। একইভাবে আরও অনেকের কাছ থেকেও বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় সে। প্রতারণার শিকার একাধিক ব্যক্তি জানান, রাহাত আলম বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রথমে অল্প কিছু টাকা ফেরত দিতেন, কিন্তু পরবর্তীতে বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে আর ফেরত দিতেন না।

স্থানীয়রা জানান, রাহাত আলম শুধু সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় নয়, তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরেও মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। সম্প্রতি গ্রামে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হলে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে যায়নি।

ভুক্তভোগীরা প্রতারক রাহাত আলমকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। তারা পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন, যেন এই ধরনের প্রতারকরা আর নিরীহ মানুষের ক্ষতি করতে না পারে।

প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা আরও জানান, রাহাত আলমের কারণে অনেক পরিবার আর্থিক সংকটে পড়েছে এবং ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা।