প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২, ২০২৫, ৫:২২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ৩:১৭ পি.এম
নলছিটিতে ভেটেরিনারি আইন লঙ্ঘন, হাতুড়ে চিকিৎসক আটক,মুচলেখায় মুক্তি
খান বশির
ঝালকাঠির নলছিটিতে ভেটেরিনারি চিকিৎসা আইন লঙ্ঘনের দায়ে এক হাতুড়ে চিকিৎসককে আটক করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু সালেহ ইফাদ মোহাম্মদ ইশতিয়াকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
আটককৃত ব্যক্তি রায়হান নামের এক কোয়াক চিকিৎসক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কোনো প্রকার নিবন্ধন ছাড়াই পশুর রোগ নিরাময়ের নামে বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার করে অবৈধভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। অভিযানের সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯-এর ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, নিবন্ধন ছাড়া ভেটেরিনারি চিকিৎসা পরিচালনা করা বা নিজেকে ভেটেরিনারি চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই ধারার ভিত্তিতেই রায়হানকে আটক করা হলেও পরবর্তীতে সতর্ক করে মুচলেখা রেখে মুক্তি দেওয়া হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু সালেহ ইফাদ মোহাম্মদ ইশতিয়াক বলেন, পশু চিকিৎসা একটি বিশেষায়িত পেশা। এ ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ভেটেরিনারি চিকিৎসক ছাড়া অন্য কারও চিকিৎসা কার্যক্রম আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কোয়াক চিকিৎসকরা এভাবে চিকিৎসা করলে শুধু পশুর জীবনই নয়, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হয়।
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আরও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়হান দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় পশুর চিকিৎসা করতেন। অনেক সময় ভুল ওষুধ প্রয়োগে গবাদি পশুর মৃত্যু ঘটত। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাণিসম্পদ বিভাগ এ অভিযান চালায়।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে বলেন, পশুর চিকিৎসা নিতে অবশ্যই নিবন্ধিত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত