প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১, ২০২৫, ১১:১৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ৬:৫৫ এ.এম
আলোচনায় বরিশালের বিতর্কিত এনামুল ও শর্টগান জাহিদ
বরিশাল প্রতিনিধি
ঢাকার ওয়ারি বিভাগের কোনাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ এনামুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, রাজনৈতিক পক্ষপাত এবং পুলিশ বাহিনীর নিরপেক্ষতা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সরকারি স্থাপনা ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’-এর তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি নাহিয়ান খান জয়কে কোনাপাড়া ফাঁড়িতে সংবর্ধনা দেন। সেখানে ফুলেল শুভেচ্ছা, আনুষ্ঠানিকতা এবং ফাঁড়ির ভেতরে ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়, যা একজন সরকারি পুলিশ কর্মকর্তার জন্য আইনবহির্ভূত ও আচরণবিধি পরিপন্থী বলে বিবেচিত হচ্ছে।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে ঢাকায় এনে তাদেরকে প্রশাসনিকভাবে সহায়তা করেছেন এবং সরকারি দায়িত্বের অপব্যবহার করে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছেন। রাজনৈতিক নেতা ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়েও তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সঙ্গে তার ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং এটি ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ হিসেবে জনমনে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
এনামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ‘শর্টগান জাহিদ’ নামে পরিচিত এক ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে চলাফেরা করেন, যার বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রদর্শনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এবং যিনি প্রকাশ্যে শর্টগানধারী দেহরক্ষীদের নিয়ে চলাফেরা করেন। এনামুল হকের এসব কর্মকাণ্ড পুলিশ বাহিনীর নিরপেক্ষতা, শৃঙ্খলা ও পেশাগত নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল। জনস্বার্থে এই ধরনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও বিভাগীয় ব্যবস্থার দাবি উঠেছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত