০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

বরিশাল চৌমাথা হাতেমালি কলেজ লেকপাড়ে উচ্ছেদের পরও অবৈধ দোকানের রমরমা ব্যবসা

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময়: ০৫:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • 48

খান বশির
বরিশালের চৌমাথা হাতেমালি কলেজ লেকের পাড়ে প্রশাসনের অভিযান চালিয়ে অবৈধ দোকান উচ্ছেদের পরও থামেনি দখলদারদের দৌরাত্ম্য। লেকের পশ্চিম ধারে আবারও চালু হয়েছে অবৈধ ফুটপাত দখল করে রমরমা ব্যবসা। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামতেই শতাধিক দোকান বসানো হয়, যেখানে ফুটপাত জুড়ে বিক্রি হয় বিভিন্ন ধরনের রুটি, মাংসসহ নানা ধরনের খাবার।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব খাবার খোলা জায়গায় ধুলাবালি মিশে থাকে, যা খাওয়ার ফলে নানা রকম পেটের অসুখ, খাদ্যে বিষক্রিয়া এবং সংক্রমণ রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে। রান্না ও খাবার প্রস্তুতের সময় স্বাস্থ্যবিধি সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়। ডান হাতে ময়লা টাকা ধরার পর একই হাতে খাবার বানানো হয়, বাম হাতে খাবার পরিবেশনসহ নানা অনিয়ম ঘটে, ফলে জীবাণু ও রোগের আক্রমণের শঙ্কা থাকে সর্বদা।

লেকপাড়ের বাসিন্দারা জানান, পূর্বে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে এসব দোকান উচ্ছেদ করলেও অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আবারও একই জায়গায় দোকান বসানো হয়েছে। স্থানীয়রা একাধিকবার নিষেধ করলেও দোকানিরা তা উপেক্ষা করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, একটি প্রভাবশালী চক্র এই অবৈধ দোকানগুলো থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করছে এবং তাদের ছত্রছায়ায় ব্যবসা চলছে নির্বিঘ্নে।

এলাকাবাসী বলেন, “আমরা বহুবার অনুরোধ করেছি যেন এই ব্যবসা বন্ধ করা হয়, কিন্তু আমাদের কথা শোনে না। তারা জানে যে প্রভাবশালীদের সমর্থন আছে, তাই কাউকে তোয়াক্কা করে না।”

এদিকে, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তারা দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এলাকাবাসীর আশঙ্কা, আগের মতোই যদি অভিযান চালিয়ে পরে অবহেলা করা হয়, তবে পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়ে যাবে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধুলাবালি, জীবাণুযুক্ত খাবার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস, আমাশয়, টাইফয়েডসহ নানান সংক্রামক রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। তাই জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় দ্রুত অবৈধ খাবারের দোকানগুলো অপসারণ ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা জরুরি।

এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে স্থায়ী সমাধান চেয়ে বলছেন, শুধু উচ্ছেদ অভিযান নয়, বরং নিয়মিত মনিটরিং ও কঠোর আইন প্রয়োগই পারে এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

বাকেরগঞ্জে ট্রাক, সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ হাইওয়েতে অবৈধ পার্কিংকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা

বরিশাল চৌমাথা হাতেমালি কলেজ লেকপাড়ে উচ্ছেদের পরও অবৈধ দোকানের রমরমা ব্যবসা

আপডেট সময়: ০৫:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

খান বশির
বরিশালের চৌমাথা হাতেমালি কলেজ লেকের পাড়ে প্রশাসনের অভিযান চালিয়ে অবৈধ দোকান উচ্ছেদের পরও থামেনি দখলদারদের দৌরাত্ম্য। লেকের পশ্চিম ধারে আবারও চালু হয়েছে অবৈধ ফুটপাত দখল করে রমরমা ব্যবসা। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামতেই শতাধিক দোকান বসানো হয়, যেখানে ফুটপাত জুড়ে বিক্রি হয় বিভিন্ন ধরনের রুটি, মাংসসহ নানা ধরনের খাবার।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব খাবার খোলা জায়গায় ধুলাবালি মিশে থাকে, যা খাওয়ার ফলে নানা রকম পেটের অসুখ, খাদ্যে বিষক্রিয়া এবং সংক্রমণ রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে। রান্না ও খাবার প্রস্তুতের সময় স্বাস্থ্যবিধি সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়। ডান হাতে ময়লা টাকা ধরার পর একই হাতে খাবার বানানো হয়, বাম হাতে খাবার পরিবেশনসহ নানা অনিয়ম ঘটে, ফলে জীবাণু ও রোগের আক্রমণের শঙ্কা থাকে সর্বদা।

লেকপাড়ের বাসিন্দারা জানান, পূর্বে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে এসব দোকান উচ্ছেদ করলেও অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আবারও একই জায়গায় দোকান বসানো হয়েছে। স্থানীয়রা একাধিকবার নিষেধ করলেও দোকানিরা তা উপেক্ষা করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, একটি প্রভাবশালী চক্র এই অবৈধ দোকানগুলো থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করছে এবং তাদের ছত্রছায়ায় ব্যবসা চলছে নির্বিঘ্নে।

এলাকাবাসী বলেন, “আমরা বহুবার অনুরোধ করেছি যেন এই ব্যবসা বন্ধ করা হয়, কিন্তু আমাদের কথা শোনে না। তারা জানে যে প্রভাবশালীদের সমর্থন আছে, তাই কাউকে তোয়াক্কা করে না।”

এদিকে, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তারা দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এলাকাবাসীর আশঙ্কা, আগের মতোই যদি অভিযান চালিয়ে পরে অবহেলা করা হয়, তবে পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়ে যাবে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধুলাবালি, জীবাণুযুক্ত খাবার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস, আমাশয়, টাইফয়েডসহ নানান সংক্রামক রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। তাই জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় দ্রুত অবৈধ খাবারের দোকানগুলো অপসারণ ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা জরুরি।

এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে স্থায়ী সমাধান চেয়ে বলছেন, শুধু উচ্ছেদ অভিযান নয়, বরং নিয়মিত মনিটরিং ও কঠোর আইন প্রয়োগই পারে এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে।