০৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

সুবিদপুরে চাঁদাবাজির নামে নিরীহ মানুষকে রাতের আঁধারে নির্যাতন

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময়: ০৫:১৭:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 24

 

খান বশির
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ৫ নং সুবিদপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের গোদন্ডা গ্রামে নিরবে চলছে চাঁদাবাজি ও নিরীহ মানুষকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, রাতের আঁধারে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের বিদ্যুতের খাম্বার সঙ্গে বেঁধে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।

ভুক্তভোগীদের স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য জোরপূর্বক চাপ প্রয়োগ করা হয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগীরা টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর ঘটনাটি গোপন রাখতে স্থানীয়ভাবে কিছু লোক ডেকে সালিশ বসানো হয়। সালিশের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের দিয়ে এক টুকরো স্ট্যাম্পে লিখিত স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় এবং সাক্ষীদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এরপর শর্তসাপেক্ষে ভুক্তভোগীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে চান না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, এ ধরনের চাঁদাবাজি ও নির্যাতন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে গেলে আরও নির্যাতনের শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

বাকেরগঞ্জে ট্রাক, সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ হাইওয়েতে অবৈধ পার্কিংকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা

সুবিদপুরে চাঁদাবাজির নামে নিরীহ মানুষকে রাতের আঁধারে নির্যাতন

আপডেট সময়: ০৫:১৭:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

খান বশির
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ৫ নং সুবিদপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের গোদন্ডা গ্রামে নিরবে চলছে চাঁদাবাজি ও নিরীহ মানুষকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, রাতের আঁধারে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের বিদ্যুতের খাম্বার সঙ্গে বেঁধে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।

ভুক্তভোগীদের স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য জোরপূর্বক চাপ প্রয়োগ করা হয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগীরা টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর ঘটনাটি গোপন রাখতে স্থানীয়ভাবে কিছু লোক ডেকে সালিশ বসানো হয়। সালিশের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের দিয়ে এক টুকরো স্ট্যাম্পে লিখিত স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় এবং সাক্ষীদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এরপর শর্তসাপেক্ষে ভুক্তভোগীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে চান না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, এ ধরনের চাঁদাবাজি ও নির্যাতন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে গেলে আরও নির্যাতনের শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।